সাম্প্রতিকসময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশনটা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্কোয়াড থেকে ‘ছিটকে’ যাওয়ার পর থেকে নম্বর সেভেন ব্যাটিং পজিশনে এখন পর্যন্ত ভরসা করার মতো কাউকে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে এশিয়া কাপে আগ মুহূর্তে রিয়াদকে দলে টানার জোর দাবি ওঠে ক্রিকেটভক্তদের কাছ থেকে।
কিন্তু রিয়াদ যেন ‘চোখের বালি’ হেড কোচ হাথুরুসিংহের। আর সে কারণেই রিয়াদকে দলে নেয়ার বিষয়ে একদমই পক্ষপাতি নন তিনি। বরং নিজের প্রিয়পাত্র সৌম্য সরকারকে যে কোনো মূল্যে দলে ভেড়াতে। ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাঁচ ও ছয় নম্বরে ব্যাটিং করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স সৌম্য দেখিয়েছেন সেটা হাথুরুসিংহে দাবি করতেই পারেন।
কিন্তু জাতীয় দলের এক সময়ের এই ওপেনারের কোনো রেকর্ড নেই সাতে নেমে ভালো খেলার। এদিকে সাতে যে রিয়াদ পরীক্ষিত সেটি অস্বীকার করার অবকাশ নেই। কিন্তু তারপরও কোনো এক অজানা কারণে রিয়াদের দিকে পড়ছে না কোচের নেক নজর, তাকে দলের আশেপাশেও যেন দেখতে নারাজ লঙ্কান এই হেড কোচ।
ফিটনেস আর অফ ফর্মে থাকার দোহাই দিয়ে তাকে রাখা হয়েছে এক প্রকারে নির্বাসিত করেই। ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে টাইগারদের এশিয়া কাপকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন। তবে এখনও রিয়াদের বিষয়ে কোনো কথা জানতে চাইলে রীতিমতো মুখে কুলুপ এঁটে রাখেন বোর্ড কর্তারা।
আর হাথুরু তো সৌম্যকে সাতে খেলানোর জন্য কোমর বেধে নেমেছেন অনেকটাই। রিয়াদ থাকবেন কিনা সেটি নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের ভিতরই ভাগ হয়ে গেছে দুটি। এক অংশ চাচ্ছে রিয়াদকে অন্তত এশিয়া কাপটা খেলানো হোক। বাজিয়ে দেখা হোক। অপরপক্ষ হাথুরুর অনুসারী। তারা নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখার পক্ষে।
তবে বোর্ডের একটি সূত্র মারফত ধারণা পাওয়া গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত হাথুরুর জয় হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবির সেই পরিচালক। একইসঙ্গে সৌম্যকে নাকি সাতে খেলানোর পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছেন লঙ্কান এই কোচ।